গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ যা আগে কেজিএসপি (Korean Government Scholarship Program) নামে পরিচিত ছিল, এর ২০২২ সেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের এমব্যাসি ট্র্যাকের আবেদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশসহ মোট ৬৭ টি দেশের শিক্ষার্থী দক্ষিন কোরিয়ায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। এ বছর এমব্যাসি ট্র্যাকে বাংলাদেশের জন্য ১ টি কোটা রয়েছে। মূলত ২ টি ট্র্যাকে এই স্কলারশিপে আবেদন করা যায়। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এবং এমব্যাসি ট্র্যাক। এই পোস্টে আমরা এমব্যাসি ট্র্যাকে আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। তবে যেকোনো আবেদনকারী এই দুইটি ট্র্যাকের মধ্যে যেকোনো একটি ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এর পোস্টটি পাবেন এখানে এমব্যাসি ট্র্যাকে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপের জন্য পছন্দ অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি করে মোট তিনটি প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে। ন্যাচারাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসির জন্য আবেদন করা যাবে না। এমব্যাসি ট্র্যাকে প্রোগ্রামে আলাদা আবেদন করতে হবে না এবং কোনো আবেদন ফি নেই। যা যা পাবেন- ১। টিউশন ফি ও মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স ফি সম্পূর্ণ ফ্রি ২। প্রতি মাসে ৯ লক্ষ ওন স্টাইপেন্ড বাংলাদেশি মূদ্রায় (৬৩০০০ টাকা প্রায়) ৩। এয়ার টিকেট (রাউন্ড ট্রিপ) ফ্রি ৪। কোরিয়ায় আসার পরপরই ২ লক্ষ ওন সেটেলমেন্ট এলাওয়েন্স ৫। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষ করে দেশে ফেরার সময় বাড়তি ১ লক্ষ ওন এলাওয়েন্স। ৬। স্বাস্থ্য বীমা এছাড়া TOPIK এ ৫ বা ৬ পাওয়া শিক্ষার্থীরা মাসে বাড়তি ১ লক্ষ ওন করে পাবে। আবেদনের যোগ্যতা- ১। এইচএসসিতে ৮০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে। ২। IELTS বা TOPIK দিয়ে থাকলে অগ্রাধিকার পাবে ৩। ১লা মার্চ ১৯৯৬ এর পর জন্মগ্রহণ করেছেন এমন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়তি কোনো রিকোয়ারমেন্ট থেকে থাকলে তা পূরণ করতে হবে। আবেদন করতে যা লাগবে ১। আবেদন ফরম ২। NIIED প্লেজ ফরম ৩। পারসোনাল স্টেটমেন্ট বা এসওপি। এসওপি নিয়ে আমাদের লেখা দুটি পোস্ট- ৪। স্টাডি প্ল্যান ৫। আপনার কলেজের যেকোনো দুজন শিক্ষক থেকে নেয়া দুটি রেকোমেন্ডেশন লেটার। আলাদা খামে সিল মারা হতে হবে। ৬। মেডিকেল এসেসমেন্ট ফরম (নিজে পূরণ করতে হবে) ৭। এইচএসসি সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট ৮। আবেদনকারীর বাবা-মায়ের এবং আবেদনকারীর এনআইডি। আবেদনকারীর এনআইডি না থাকলে জন্মসনদের ইংরেজি কপি। ৯। এক্সট্রা কারিকুলার বার এজাতীয় সার্টিফিকেট ১০ TOPIC/IELTS যদি থাকে আবেদন ফরমের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রতিটি ডকুমেন্ট লেভেলিং করে সাজিয়ে একটি খামে ভরতে হবে। এই হলো অরিজিনাল একসেট আবেদন কপি। এরকম আরো তিন সেট ফটোকপি আবেদন কপি রেডি করতে হবে। এই চার সেট আরেকটি খামে ভরে জমা দিতে হবে। সবগুলো ডকুমেন্ট রঙ্গিন প্রিন্ট করতে হবে। কোনো ডকুমেন্ট বাংলায় থাকলে তার সাথে নোটারিকৃত অনুবাদ কপি দিতে হবে। জমা দেয়া কোনো ডকুমেন্ট ফেরত দেয়া হবে না। তাই একাডেমিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট এর মূল কপি দিবেন না। মূল বিজ্ঞপ্তি এবং ফরমগুলো পাবেন এখানে আবেদন করবেন যেভাবে- চারসেট আবেদন কপি খামে ভরে ঢাকাস্থ কোরিয়ান এমব্যাসিতে গিয়ে জমা দিতে হবে। সঠিকভাবে ফরমগুলো পূরণ করতে এবং প্রোগ্রাম সিলেক্টে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন পেতে আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নিন।আমাদের সাপোর্ট ফি ১০২০ টাকা। অনলাইন সাপোর্টের বিস্তারিত পাবেন এখানে- অনলাইন সাপোর্ট সেবা । অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে খোলা বাকসো অনলাইন সাপোর্টের জন্য স্লট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করুন। ডকুমেন্ট জমা দেয়ার ঠিকানা- Embassy of the Republic of Korea 4 Madani Avenue Baridhara, Dhaka-1212, Bangladesh আবেদনের হার্ডকপি ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জমা দেয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের ২০ অক্টোবর জুমে ইন্টারভিউ নেয়া হবে। আন্ডারগ্র্যজুয়েট নিয়ে এই লেখাটিও পড়ে দেখতে পারেন কিন্তু নিড ব্লাইন্ড এডমিশন- জানার আছে অনেক কিছু |
Archives
March 2022
Categories
All
|