হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে প্রায় ৫ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স এবং ডক্টরাল হাঙ্গেরি তে পড়তে পারবে। হাঙ্গেরি সরকার এর মাধ্যমে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করার নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি একই সাথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ নিতে ইচ্ছুক থাকে তাহলে ওয়ান টায়ার মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ান টায়ার প্রোগ্রাম টি দেয়া হচ্ছে জেনারেল মেডিসিন, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, ফরেস্ট্রি ইঞ্জিন্যারিং ইত্যাদি সাবজেক্টের ক্ষেত্রে। স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপের আওতায় যা যা পাবেন- ১। টিউশন ফি ২। মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩৫০০ টাকা স্টাইপেন্ড, ডক্টরাল প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে যা প্রায় ৪৭ হাজার টাকা ৩। ক্যাম্পাসের ডরমিটিরিতে বিনা ভাতায় থাকার ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, ডরমিটরিতে না থাকতে চাইলে মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বাড়ি ভাড়া ভাতা বাবদ। ৪। মেডিকেল ইনস্যুরেন্স আবেদনের যোগ্যতা- ১। বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। ২। অবশ্যই ১৮ বছর বয়স হতে হবে। বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে আবেদন করতে পারবেন না। ৩। আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ব্যান্ড স্কোর ৫ থাকতে হবে। তবে সাবজেক্ট ভেদে আরো বেশি লাগতে পারে। তাই আপনার পছদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পছদের সাবজেক্টটির রিকোয়ারমেন্ট দেখে নিন। আবেদন করতে এখানে একাউন্ট খুলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নিতে পারেন। পুরো অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় অনলাইন সাপোর্ট পাবেন মাত্র ১০০০ টাকায়। অনলাইন সাপোর্টের বিস্তারিত পাবেন এখানে । অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে খোলা বাকসো অনলাইন সাপোর্টের জন্য স্লট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করুন। আবেদনের জন্য যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে- ১। মোটিভেশন লেটার ২। আইইএলটিএস স্কোর (যদি না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০১৮র মধ্যে আইইএলটিএস দিয়ে আপলোড করতে দেয়া হবে) ৩। একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট (যদি এখন না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০১৮র মধ্যে আপলোড করত হবে) ৪। মেডিকেল সার্টিফিকেট (যদি এখন না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০১৮র মধ্যে আপলোড করতে হবে) ৫। পাসপোর্ট (যদি এখন না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০১৮র মধ্যে আপলোড করতে হবে) অনলাইনে আবেদন ১৬ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সাবমিট করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর অনলাইন আবেদন কপিসহ সকল ডকুমেন্ট “সেন্ডিং পার্টনার” এর ঠিকানায়ও পাঠাতে হবে। সেন্ডিং পার্টনার সাধারণত সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রনালয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সেন্ডিং পার্টনার এখনো চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে স্কলারশিপ কর্তৃপক্ষ বলেছেন ১৬ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইন আবেদন সাবমিট করতে। খুব শীঘ্রই তারা সেন্ডিং পার্টনারের ব্যাপারে তথ্য প্রদান করবে। আবেদন টাইমলাইন ১৬ ফেব্রুয়ারী- অনলাইন এবং সেন্ডিং পার্টনারের কাছে আবেদন সাবমিট ৩০ মার্চ- টেকনিক্যাল চেক এবং নমিনেশন প্রসেস এপ্রিল থেকে জুন- সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন প্রক্রিয়া জুন থেকে জুলাই- ভিসা এপ্লিকেশন প্রসেস সেপ্টেম্বর- হাঙ্গেরি তে আসা |
Archives
March 2022
Categories
All
|