টিম খোলা বাকসোর পক্ষ থেকে আপনাদের অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের প্রকাশিত প্রথম ই-বইটি ইতিমধ্যে চলে এসেছে। "বিদেশে উচ্চশিক্ষা- আল্টিমেট গাইড ফর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট" ই-বইটি আমাদের গত চারবছরের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের বাইরে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার ক্ষেত্রে একটি পথ-নির্দেশনামূলক বই। বইটি কিনতে ১০০ টাকা বিকাশ/রকেটে পাঠিয়ে ট্রানজেকশন নাম্বারটি আমাদের পেজে মেসেজ করতে হবে। পেমেন্টের পর আমরা গুগল ড্রাইভ লিংক দিব। লিংকে গিয়ে ই-বইটি পড়তে পারবেন। আমাদের ফেসবুক পেজ লিংক- https://www.facebook.com/kholabakso/
বিকাশ- ০১৮৩৪৮৪৪৪৬২ রকেট- ০১৮৩৪৮৪৪৪৬২৪ বাইরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর যে দেশগুলোর নাম শুনে থাকি সেগুলোর তুলনায় এস্তোনিয়া একটি অপরিচিত নাম। যার কারণে সুযোগ থাকলেও এব্যাপারে পর্যাপ্ত জানাশোনা না থাকার কারণে যারা পড়াশোনার জন্য বাইরে যেতে আগ্রহী তারা এস্তোনিয়াকে খুব একটা বিবেচনায় রাখেন না। এস্তোনিয়ায় পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা এবং দরকারি তথ্যগুলো একসাথে করার লক্ষ্যেই মূলত এই লেখার অবতারণা। তো চলুন শুরু করা যাক!
এস্তোনিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। সুইডেনের ঠিক পাশের প্রচণ্ড শীতের একটি দেশ। সরকারি ভাবে এর নাম এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র। এস্তোনিয়ায় ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলো হলো- Tallinn University, University of Tartu, Tallinn university of technology, Estonian Academy of Arts, Estonian Academy of Music and Theatre, Estonian University of Life Sciences। এছাড়া আরো কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। উল্লেখ্য, এস্তোনিয়ায় পিএইচডি প্রোগ্রামে কোনো টিউশন ফি নেই। এস্তোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বা মাস্টার্স পড়তে চাইলে এইচএসসি বা অনার্সে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে অন্তত ৫১-৬০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে। অর্থাৎ এইচএসসিতে ৩.৫ থাকলেই আবেদন করা যাবে। এছাড়া আইইএলটিএসে অন্তত ৫.৫ পেতে হবে কেননা প্রায় সবক্ষেত্রেই প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ ইংরেজি। এখানে টিউশন ফি অনেক কম। প্রায় বাংলাদেশী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমান। সব মিলিয়ে প্রায় বাংলাদেশের মতই খরচ পড়ে, লিভিং কস্ট সহ। এছাড়া সেমিস্টার রেজাল্ট ভাল রাখতে পারলে ছোট ছোট কিছু স্কলারশিপ পাওয়া যায় যার ফলে খরচ আরো কিছুটা কমে যায়। জিআরই মানে কি?
গ্র্যাজুয়েট বা মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত পরীক্ষাটির নামই হলো জিআরই পরীক্ষা। আমরা সবাই জানি পড়াশোনার মান এবং ইভালুয়েশন পদ্ধতি দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়েভেদে ভিন্ন। কোথাও ১০০ তে ৮০ পেলেই চার এ চার পাওয়া যায় আবার কোথাও চার পেতে ৯৭ পেতে হয়। এক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে আরেক দেশের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সিজিপিএ তুলনা করে সত্যিকার অর্থে কে বেশি মেধাবী তা নির্নয় করা দুরূহ। এখন যদি এই দুই শিক্ষার্থীই একটি কমন পরীক্ষা মানে জিআরই দেয় তাহলে তাদের জিআরই স্কোর দেখে তাদের মেধার তুলনামূলক সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। প্রতিবছর ১৬০ টি দেশের ১০০০ এরও বেশি টেস্ট সেন্টারে হাফ মিলিয়নের থেকে বেশি শিক্ষার্থী জিআরই জেনারেল টেস্ট দিয়ে থাকে। আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা বিদেশে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরতে যাওয়া। সে অনুযায়ী চাই যথাযথ প্রস্তুতি। কিভাবে আমাদের প্রস্তুতি নেয়া উচিত এব্যাপারে অনেক লেখা পাবেন ইন্টারনেটে। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র যারা গিয়েছেন তাদের থেকেও অনেক পরামর্শ নিতে পারেন। আমরাও আজকে বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলবো তবে আমরা চেষ্টা করবো নির্দিষ্ট এমনকিছু পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে যেগুলো গুরুত্বপুর্ন হলেও সাধারণত অব্যক্ত থেকে যায়। অথচ জানলে আরো গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারতেন। ভূমিকা না বাড়িয়ে চলুন বরং মূল আলোচনায় যাই।
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যারা এমএস এর জন্য ইউএসে যাওয়ার কথা ভাবেন তাদের প্রথমেই যে বড় দোটানার মধ্যে পড়তে হয় তা হলো কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করা উচিত হবে। এত এত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে নিজের জন্য সবদিক থেকে মানানসই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বের করে নেয়া সত্যিকার অর্থেই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এই সময়সাপেক্ষ কাজটিতে যেনো আপনার অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য কিছুটা কাজ এগিয়ে দেয়ার জন্যই এই লেখাটি।
ওভারঅল প্রোফাইলের ভিত্তিতে কোন ধরণের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপনার লিস্টে রাখতে পারেন তার ছোটো খাটো গাইডলাইন পাবেন। খুবই সহজ। আপনার একাডেমিক এচিভমেন্ট গুলো আমরা রান হিসেবে দেখবো। আপনার সিজিপিএ, জিআরই ইত্যাদির স্কোরকে আমরা রানে কনভার্ট করবো। সিজিপিএ, জিআরই ইত্যাদি মিলিয়ে কত রান হচ্ছে সবগুলো যোগ করবেন। মোট রান যেই ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে সেগুলো আপনার আবেদন করার জন্য অপেক্ষাকৃত উপযুক্ত। খাতা-কলম নিয়ে শুরু করা যাক তাহলে! ২০১৭ সালের জাতিসংঘের বিশ্ব সুখ রিপোর্ট অনুযায়ী নরওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ। নরওয়ে ইউরোপে অবস্থিত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর একটি। নর্ডিক এই দেশটিতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সম্ভাবনা এবং হালচাল নিয়ে আজকে বলবো। নরওয়েতে পড়তে চাইলে পুরো লেখাটি আপনার জন্যই।
নরওয়েতে মাস্টার্স কোর্সের জন্য আবেদন করা যায় প্রতিবছর ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে। সেশন শুরু হয় পরের বছরের আগস্ট মাসে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের আগে আবেদন করতে হবে। এরপর এপ্রিলের মধ্যে অফার লেটার পেলে এডমিশন এবং ভিসার প্রসিডিউর শেষ করার জন্য জুন পর্যন্ত সময় পাবেন। সব ঠিক থাকলে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ বা আগস্টে নরওয়ে যেতে পারবেন। নরওয়েতে মাস্টার্স লেভেলের প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি। মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো ১-২ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। বাইরে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়তে যাওয়ার জন্য যাদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট (SAT) তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। ইউএস-কানাডা ছাড়াও নামকরা প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার দক্ষতা মাপার জন্য স্যাটের স্কোর আমলে নিয়ে থাকে। এদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্যাট স্কোর জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বাধ্যতামূলক নয়, সেসব ক্ষেত্রেও স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার স্কোর লাগে। মূলত বিভিন্ন দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে তুলনামূলক মেধাবী শিক্ষার্থী বেছে নিতে স্যাটকে এডমিশন অফিসাররা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকেন।
এইচএসসির পর অনেকেরই স্বপ্ন থাকে বিশ্বখ্যাত এমআইটি, হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডে পড়ার। কিন্তু কিভাবে নিজেকে এর জন্য প্রস্তুত করা যায় সেব্যাপারে না জানার কারণে চেষ্টা করা হয়ে উঠে না। তাই আমরা চেষ্টা করবো এব্যাপারে প্রাথমিক কিছু তথ্য জানানোর জন্য। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করতে দোষ কি! এর আগে আমরা অক্সফোর্ডে আবেদনের ব্যাপারে লিখেছিলাম। আজকের লেখায় আমরা জানাবো ইউএসের টপ র্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে।
Need-Blind শব্দটার যদি এপিক অনুবাদ করার চেষ্টা করি তাহলে অনেকটা এরকম কিছু দাঁড় করানো যায়- “প্রয়োজন মানে না বাধা” বা “অন্ধ ভালোবাসা”। সে যাই হোক, এটি মূলত পড়া-শোনার ক্ষেত্রে আর্থিক অসঙ্গতির বাধাকে লাঘব করার একটি পলিসি। আপনি যদি কখনো আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে ইউএসে পড়ার জন্য খোঁজ খবর নেয়ার চেস্টা করে থাকেন তাহলে খুব সম্ভবত “Need-Blind” টার্মটা শুনে থাকবেন। মোটামুটি একটি ধারনাও হয়ত আপনার আছে নিড ব্লাইন্ড নিয়ে। সে ধারণাকে আরো পরিস্কার করতে বা একদমই এই কনসেপ্টের সাথে পরিচিত না হয়ে থাকলে ভালোভাবে জানার জন্য এই লেখাটি। নিড-ব্লাইন্ড সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিত ধারণা দেয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেস্টা। ইউএসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি অনেক অনেক বেশি অধিকাংশ দেশের তুলনায়। এর বাইরে তো একোমোডেশনসহ আনুষঙ্গিক খরচ থাকেই। সবমিলিয়ে খরচের হিসাবটা পাকাপাকিভাবে সামর্থ্যের বাইরে অবস্থান করে। তাই বলে তুখোড় মেধাবীরা (যেমন উদ্ভাসের তুখোড় ব্যাচের মেধাবীরা) কি নিজের ইচ্ছাগুলোর পেছনে কখনোই ছুটতে পারবে না? হয়ত অনেকটা এরকম চিন্তা-ভাবনা থেকে এসে গেল এক নতুন ধরনের ফিন্যান্সিয়াল এইড। হ্যাঁ তার নামই নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন। তবে এর কিছু ধরণ আছে। আমরা অনেক সময় Need-blind এর সাথে Need-blind with full-need pledges কে গুলিয়ে ফেলি। উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় জার্মানী অন্যতম। এর কারণ পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্য ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় জার্মানীতে খরচ কম। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর পড়াশোনার মানের সুখ্যাতি এর অন্যতম কারণ। জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিন্তু জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায়ও প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তবে ইংরেজি ভাষায় প্রোগ্রাম মূলত পোস্টগ্রাজুয়েট পর্যায়ে বেশি।
পোস্টের শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন আজকে আমরা বলবো জার্মানীতে পড়ার জন্য বিদ্যমান সকল স্কলারশিপ নিয়ে। যদি জার্মানীতে পড়তে যাওয়া আপনার লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আপনার একাডেমিক প্রোফাইল এবং পছন্দের উপর ভিত্তি করে এখানের স্কলারশিপগুলো থেকে একটি শর্টলিস্ট করে সে অনুযায়ী নিজে কে তৈরি করে ফেলুন জার্মানীর জন্য! ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস বা ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ৫টি ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত। ক্যাম্পাসগুলো হলো- Amherst, Boston, Dartmouth, Lowell এবং Worcester। এর মধ্যে Worcester হলো মেডিকেল স্কুল এবং Amherst হলো ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্ল্যাগশিপ ক্যাম্পাস। এর বাইরে Springfield হলো ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাটেলাইট বা দুরবর্তী ক্যাম্পাস। Amherst ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সবথেকে পুরাতন এবং ফ্ল্যাগশিপ ক্যাম্পাস হওয়ায় এই ক্যাম্পাসের জন্য প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে অনেকবেশি অন্য ক্যাম্পাসগুলোর তুলনায়।
আজকে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির নানান দিক নিয়ে বলার চেষ্টা করবো। গ্র্যজুয়েট লেভেল নিয়েও কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা থাকবে। তবে মূলত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট নিয়েই এই পোস্টটি। এইচএসসির পর ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এ আবেদন করার ইচ্ছা থাকলে এই পোস্টটা আপনার জন্যই। |