স্কলারশিপ
স্কলারশিপ
  • হোম
  • নতুন আপডেট
  • হাতেখড়ি
  • আমাদের সেবাসমূহ
  • যোগাযোগ
  • আমাদের লক্ষ্য
  • হোম
  • নতুন আপডেট
  • হাতেখড়ি
  • আমাদের সেবাসমূহ
  • যোগাযোগ
  • আমাদের লক্ষ্য
Picture

এইচএসসির পরে এমআইটি হার্ভার্ডে আবেদন করতে কি কি লাগে?

9/11/2018

Comments

 
এইচএসসির পর অনেকেরই স্বপ্ন থাকে বিশ্বখ্যাত এমআইটি, হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডে পড়ার। কিন্তু কিভাবে নিজেকে এর জন্য প্রস্তুত করা যায় সেব্যাপারে না জানার কারণে চেষ্টা করা হয়ে উঠে না। তাই আমরা চেষ্টা করবো এব্যাপারে প্রাথমিক কিছু তথ্য জানানোর জন্য। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করতে দোষ কি! এর আগে আমরা অক্সফোর্ডে আবেদনের ব্যাপারে লিখেছিলাম। আজকের লেখায় আমরা জানাবো ইউএসের টপ র‍্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে। 
​
Need-Blind শব্দটার যদি এপিক অনুবাদ করার চেষ্টা করি তাহলে অনেকটা এরকম কিছু দাঁড় করানো যায়- “প্রয়োজন মানে না বাধা” বা “অন্ধ ভালোবাসা”। সে যাই হোক, এটি মূলত পড়া-শোনার ক্ষেত্রে আর্থিক অসঙ্গতির বাধাকে লাঘব করার একটি পলিসি। আপনি যদি কখনো আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে ইউএসে পড়ার জন্য খোঁজ খবর নেয়ার চেস্টা করে থাকেন তাহলে খুব সম্ভবত “Need-Blind” টার্মটা শুনে থাকবেন। মোটামুটি একটি ধারনাও হয়ত আপনার আছে নিড ব্লাইন্ড নিয়ে। সে ধারণাকে আরো পরিস্কার করতে বা একদমই এই কনসেপ্টের সাথে পরিচিত না হয়ে থাকলে ভালোভাবে জানার জন্য এই লেখাটি। নিড-ব্লাইন্ড সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিত ধারণা দেয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেস্টা। 

 
ইউএসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি অনেক অনেক বেশি অধিকাংশ দেশের তুলনায়। এর বাইরে তো একোমোডেশনসহ আনুষঙ্গিক খরচ থাকেই। সবমিলিয়ে খরচের হিসাবটা পাকাপাকিভাবে সামর্থ্যের বাইরে অবস্থান করে। তাই বলে তুখোড় মেধাবীরা (যেমন উদ্ভাসের তুখোড় ব্যাচের মেধাবীরা) কি নিজের ইচ্ছাগুলোর পেছনে কখনোই ছুটতে পারবে না? হয়ত অনেকটা এরকম চিন্তা-ভাবনা থেকে এসে গেল এক নতুন ধরনের ফিন্যান্সিয়াল এইড। হ্যাঁ তার নামই নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন। তবে এর কিছু ধরণ আছে। আমরা অনেক সময় Need-blind এর সাথে Need-blind with full-need pledges কে গুলিয়ে ফেলি। 

​
Picture


নিড-ব্লাইন্ড এডমিশনের ধরণ  

নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন মানে ইউএসের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক-সঙ্গতিকে বিবেচনা করবে না। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাটার করবে আপনার মেধা, আপনার যোগ্যতা এবং আপনার সম্ভাবনা। টাকা ম্যানেজের ব্যাপার পরে। তবে কথা আছে। নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন এবং এর ধরণ বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। কোথাও শুধু ইউএস সিটিজেন এই সুবিধাটি পায় আবার কোথাও ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরাও এই সুবিধা নিতে পারে। এছাড়া কিছু বিশ্ববিদ্যালয় একটি নির্দিস্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন দিতে পারে আবার কিছু সুপার রিচ বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা গর্ব করেই বলে প্রয়োজন হলে আমরা সবাইকেই নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন দিবো (You know, we are super rich!) এই শেষোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিড-ব্লাইন্ড এডমিশনের সাথে ফুল-নিড (“Full-need” pledges) এর অঙ্গীকার করে। মানে একটি সেশনের জন্য তারা যতজনকে একসেপ্ট করবে তাদের সবাইকে পর্যাপ্তসংখ্যক ফিন্যান্সিয়াল এইড দিয়ে ইউএসে এসে তাদের প্রোগ্রামগুলোতে পড়ার জন্য আর্থিকভাবে সক্ষম করার জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। টাকা দরকার হলে তারা দিবে, আপনাকে শুধু সেখানে পড়ার মত স্মার্ট এবং মেধাবী হতে হবে। 


Need-blind with full pledges  যারা দেয় 


নিড-ব্লাইন্ড এডমিশনের সাথে ফুল নিড সুবিধাটি বর্তমানে যে ৫ টি এলিট বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে তাদের নামগুলো কম-বেশি শুনে থাকবেন। কারণ এগুলো শুধু ধনীই নয়, আমেরিকা ও বিশ্বের প্রেস্টিজিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যেও প্রথম সারির। দেখুন তো কয়টি নাম গেস করতে পেরেছেন-
 

১। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটুট অব টেকনোলজি (এমআইটি)
২। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
৩। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়
৪। ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়
৫। এমহার্স্ট কলেজ


হ্যাঁ, এগুলো ইউএসের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সবথেকে প্রেস্টিজিয়াস পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোতে জায়গা করে নেয়া তুখোড় মেধাবীদের জন্যও কঠিন। তবে সুযোগ পেলে টাকার অংক আপনাকে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে প্রাচীর হয়ে দাড়াতে পারবে না।

অনেকে হয়ত এপর্যন্ত পড়ে এখন কিছুটা আশাহত হয়েছেন। আরে ভাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয় হলেও তাও বলতাম এতবড় পোস্ট পড়ে সময় নষ্ট হয় নাই। তাই বলে এমআইটি! ধুর শুধু শুধু আশায় বুক বাধলাম।

একটু দাঁড়ান ভাই! এগুলোতে পড়ার জন্য যে কোয়ালিফিকেশনের দরকার হয় আগে সেগুলো দেখুন। যে অনুযায়ী কোয়ালিফিকেশনগুলো অর্জন করার চেষ্টা করুন। আমি ধরেই নিচ্ছি পুরোদমে চেষ্টা করার পর আপনার স্কোরগুলো হার্ভার্ড-এমআইটিতে চান্স পাওয়ার মত না, তার থেকে কম। তাই আর এগুলোতে কস্ট করে আর আবেদনও করলেন না। কিন্তু এখন আপনার যে একাডেমিক প্রোফাইল হয়েছে এটা দিয়ে ইউএসের মধ্যম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজে ভর্তি হতে পারবেন। ফিন্যান্সিয়াল এইডও পাচ্ছেন, বাকি খরচটা হাতের নাগালে চলে এসেছে। অথবা আরেকটু কম র‍্যাঙ্কিংএর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রচলিত এইডের বাইরে খুব রেয়ার কোনো স্কলারশিপের আওতায় আপনাকে ফুল ফান্ড দিচ্ছে? আরে বাহ!(এরকম আসলেই হয় কিন্তু)

এই ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ফুল রাইড স্কলারশিপ দিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদেরকে। তবে তা নির্দিস্ট সংখ্যক কে। 


যে কোয়ালিফিকেশন লাগবে 

আচ্ছা তাহলে তারা কেমন কোয়ালিফিকেশন চায় তার একটা হিসাব-নিকাশ দেখা যাক।

আপনাকে এইচএসসির পাশাপাশি SAT দিতে হবে এটা আপনি আপনার সুবিধামত এইচএসসি বোর্ড এক্সামের পরে বা আগেই দিতে পারবেন। পুরোনো SAT অনুযায়ী, এমআইটিতে যারা চান্স পেয়েছে তাদের অধিকাংশের স্কোর ২৪০০ তে  ২২২১ থেকে ২৩৬০ রেঞ্জের মধ্যে। এখন তো নতুন SAT চলে এসেছে, তাই নতুন SAT নিয়ে বলি।  নতুন SAT অনুযায়ী, এমআইটিতে যারা চান্স পেয়েছে তাদের অধিকাংশের স্কোর ১৬০০ তে  ১৫২০ থেকে ১৫৯০ রেঞ্জের মধ্যে। 

বাকি ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও রেঞ্জ অনেকটা এরকমই। এই স্কোর করা মানে ভালো নয় প্রচন্ড ভালো করা। এর নিচে স্কোর করেও চান্স পাওয়ার গল্প আছে, তবে সেই গল্প গুলো এক্সেপশনাল। চান্স পাওয়া অধিকাংশ প্রোফাইল এই রেঞ্জের মধ্যে। এই স্কোর তোলা অবশ্যই কঠিন তবে অসম্ভব নয়।
এমআইটি পড়ুয়াদের SAT স্কোরের আরো ডিটেইল তথ্য এবং এই রিলেটেড ডাটাগুলো এখানে পাবেন 

তো এই রেঞ্জের মধ্যে স্কোর এসে গেলেই যে আপনি নিশ্চিতভাবে চান্স পাবেন তা নয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করতে পারেন আর কি। যাদের এমন স্কোর চলে আসবে তাদেরকে একটা টোটকা দিয়ে যাই। নির্ভরযোগ্য সুত্রমতে একেবারে আগে আগে আবেদন করে এক্সপেটেড হওয়াটা শেষের দিকে আবেদন করে এক্সেপ্টেড হওয়ার থেকে তিন গুণ বেশি সোজা। মানে বসন্তের (স্প্রিং সেশন) অপেক্ষায় না থেকে শীতেই (উইন্টার সেশন) কাজ সেরে ফেলতে বিজ্ঞজনেরা পরামর্শ দেন।


হোয়াট ইজ SAT? 

এখন SAT আসলে কি? একেবারে ছোট করে মূল ব্যাপারগুলো বলছি। অনার্স শেষে যেমন GRE/GMAT লাগে তেমনি এইচএসসির পর SAT লাগে। SAT পরীক্ষায় প্রশ্নগুলো মূলত দুটি সেকশনে থাকে।  ম্যাথমেটিকস সেকশন এবং এভিডেন্স বেজ্ড রিডিং- রাইটিং সেকশন। প্রতি সেকশনে ৮০০ করে মোট ১৬০০। এর সাথে অপশনাল হিসেবে থাকছে Essay রাইটিং। এর জন্য আলাদাভাবে ৬-২৪ স্কেলে নাম্বার দেয়া হবে।  

ম্যাথমেটিকস সেকশনে অধিকাংশ প্রশ্নই এমসিকিউ ধরণের। ভুল উত্তরের জন্য নাম্বার কাটবে না। এর মধ্যে প্রথম ভাগে আসা ২০টি প্রশ্নে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। তবে পরের সাইন্টেফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। মানে অংকে ভালো হলে এখানে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। 

এভিডেন্স বেজ্ড রিডিং- রাইটিং সেকশনে এইচএসসি ১ম পত্রে যেমন একবারে প্রথমে প্যাসেজ দেয়া থাকে এবং তা পড়ে এমসিকিউ দেয় অনেকটা ওরকম। মানে এখানে আপনার ইংরেজিতে পারদর্শিতা কাজে লাগবে। 

SAT এর সিলেবাস দেখে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে ভালো স্কোর করা খুবই সম্ভব। আমরা চেষ্টা করবো শুধু SAT নিয়ে একটি পোস্ট দেয়ার। আর সাথে আইইএলটিএস দিলেন। এই দুটি পরীক্ষা দিতে খরচ হবে ৯৫০০ (SAT) + ১৬৫০০ (IELTS) = ২৬ হাজার টাকার মত। তাই আগে ভালো করে বুঝুন আপনার সক্ষমতা। প্রস্তুতি নেয়ার পর মক টেস্ট দিন। যদি কনফিডেন্ট হন যে এক্সাম খারাপ হলেও অন্তত ১২০০ আসবেই তাহলে নির্দ্বিধায় এক্সাম দিন। প্রস্তুতির জন্য এসএসসি পরীক্ষার পর আর এইচএসসি ক্লাস শুরুর মাঝখানের সময়কে ফুলস্কেলে কাজে লাগান। আর এইচএসসি পরীক্ষার আগেই সুযোগ বুঝে এক্সাম গুলো দিয়ে দিতে পারেন। এরকম করলে এইচএসসি রেজাল্ট পাওয়ার আগেই অফার লেটার পেয়ে যাবেন। মানে কোনো ধরনের গ্যাপ থাকলো না। 


SAT দিলে  লাভ  কি? 

শুধু এইচএসসি দিয়ে বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করতে পারবেন না। তবে সাথে SAT এ ডিসেন্ট স্কোর ( জরুরী না যে ১৬০০ তে ১৫০০+ হতে হবে) আর আইইএলটিএস স্কোর থাকলে শুধু আবেদনই না, কোরিয়ার KAIST বা তুরস্কের METU এর মত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডও পাওয়া খুবই সম্ভব। শিক্ষার মানের দিক থেকে এগুলো আমাদের বুয়েট, ঢাবির থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। প্রসঙ্গত, KAIST এ ভর্তির সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক বিদেশী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয়া হয় যা পুরো টিউশন ফি কভার করে এবং এর আওতায় মাসে একটি নির্দিস্ট এমাউন্ট স্টাইপেন্ড হিসেবে দেয়া হয়।
 
এর বাইরে বিভিন্ন দেশের এভেইলেবল সরকারী স্কলারশিপগুলোতেও অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবেন SAT আর IELTS এর কারণে। তো এমআইটি-হার্ভার্ড লক্ষ্য করে এগিয়ে যাওয়ার পর লক্ষ্যে ব্যর্থ হলেই যে গল্প শেষ এমনটা নিশ্চয় ভাবার আর কারণ নেই। টার্গেট টা অনেক বড় তবে খুব রিস্কি না।
 
আপনার লক্ষ্যকে বড় করুন। গাছ আশা করে খাটলে অন্তত ফল তো পাবেন। বিশ্বাস করুন ওখানে যারা পড়ছে তারা সবাই মানুষ একটাও ড্রাগন নাই। 


 লেখাটির লিংক শেয়ার করতে পারবেন। কপি-পেস্ট করে লেখাটি শেয়ার করবেন না প্লিজ। আমরা এরকম লেখা আপনাদেরকে ভবিষ্যতে আরো দিতে চাই। কপি-পেস্ট করে লেখার অনধিকার ব্যবহার আমাদেরকে লিখতে অনুৎসাহিত করে। ধন্যবাদ।

Soka University of America এ ফুলরাইড স্কলারশিপ
​পড়তে চাইলে তুরস্কে

Picture
Comments

    ক্যাটাগরি 

    All
    GMAT
    GRE
    MBA
    Oxford
    SOP
    Undergraduate
    USA





    ​আর্কাইভ 

    January 2020
    August 2019
    June 2019
    November 2018
    October 2018
    September 2018
    July 2018
    March 2018
    February 2018
    January 2018
    March 2017
    January 2017
    November 2016
    October 2016
    August 2016
    July 2016

    RSS Feed

Powered by Create your own unique website with customizable templates.