স্কলারশিপ
স্কলারশিপ
  • হোম
  • নতুন আপডেট
  • হাতেখড়ি
  • আমাদের সেবাসমূহ
  • যোগাযোগ
  • আমাদের লক্ষ্য
  • হোম
  • নতুন আপডেট
  • হাতেখড়ি
  • আমাদের সেবাসমূহ
  • যোগাযোগ
  • আমাদের লক্ষ্য
Picture

পড়তে চাইলে এস্তোনিয়ায়

1/18/2020

Comments

 
বাইরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর যে দেশগুলোর নাম শুনে থাকি সেগুলোর তুলনায় এস্তোনিয়া একটি অপরিচিত নাম। যার কারণে সুযোগ থাকলেও এব্যাপারে পর্যাপ্ত জানাশোনা না থাকার কারণে যারা পড়াশোনার জন্য বাইরে যেতে আগ্রহী তারা এস্তোনিয়াকে খুব একটা বিবেচনায় রাখেন না। এস্তোনিয়ায় পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা এবং দরকারি তথ্যগুলো একসাথে করার লক্ষ্যেই মূলত এই লেখার অবতারণা। তো চলুন শুরু করা যাক! 

এস্তোনিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। সুইডেনের ঠিক পাশের প্রচণ্ড শীতের একটি দেশ।  সরকারি ভাবে এর নাম এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র। এস্তোনিয়ায় ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলো হলো- Tallinn University, University of Tartu, Tallinn university of technology, Estonian Academy of Arts, Estonian Academy of Music and Theatre, Estonian University of Life Sciences। এছাড়া আরো কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। উল্লেখ্য, এস্তোনিয়ায় পিএইচডি প্রোগ্রামে কোনো টিউশন ফি নেই। এস্তোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বা মাস্টার্স পড়তে চাইলে এইচএসসি বা অনার্সে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে অন্তত ৫১-৬০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে। অর্থাৎ এইচএসসিতে ৩.৫ থাকলেই আবেদন করা যাবে। এছাড়া আইইএলটিএসে অন্তত ৫.৫ পেতে হবে কেননা প্রায় সবক্ষেত্রেই প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ ইংরেজি। 
এখানে টিউশন ফি অনেক কম। প্রায় বাংলাদেশী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমান। সব মিলিয়ে প্রায় বাংলাদেশের মতই খরচ পড়ে, লিভিং কস্ট সহ। এছাড়া সেমিস্টার রেজাল্ট ভাল রাখতে পারলে ছোট ছোট কিছু স্কলারশিপ পাওয়া যায় যার ফলে খরচ আরো কিছুটা কমে যায়।
​

Picture


​আবেদন করতে যা যা লাগবে-
  • এইচ.এস.সি ও এস.এস.সি এর ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট
  • ০১ টি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • ইউরোপাস সিভি
  • সর্বশেষ একাডেমিক ট্র্যান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেটের নোটারাইজ কপি
  • মোটিভেশন লেটার অথবা থিসিস প্রপোজাল। (থিসিস/রিসার্চ প্রপোজাল মাস্টার ও পিএইচডি আবেদনকারীদের জন্য)
  • ইংলিশ প্রফিসিয়ান্সি সার্টিফিকেট(আইইএলটিএস ৫.৫ অথবা যদি আপনার পূর্বের পড়াশুনার ভার্সন সম্পূর্ণ রূপে ইংলিশ হয় তার নোটারাইজ কপি)
  • পাসপোর্টের কপি
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট ( যদি থাকে )


অনলাইনে আবেদনের পর আবেদন কপি এবং আবেদন ফি এর রশিদ সহ উপরোক্ত ডকুমেন্ট গুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে।
 
ব্যাচেলর ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত প্রতি বছরে টিউশন ফি ১৭০০ থেকে ৭৫০০ ইউরো পর্যন্ত লাগতে পারে। মানে বাংলাদেশী টাকায় বছরে ২ থেকে ৭ লাখ টাকা। ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম আংশিক স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে।  বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা একটি মেডিসিন কোর্সেও আবেদন করতে পারবে। তবে মেডিসিন কোর্সের টিউশন ফি বছরে প্রায় ১১ লাখ টাকা এবং এক্ষেত্রে স্কলারশিপ নেই। লিভিং এক্সপেন্স বা থাকা-খাওয়া বাবদ মাসে ৩০০-৫০০ ইউরো (বাংলাদেশী টাকায় ৩০-৫০ হাজার টাকা) লাগতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম জব করা যাবে তবে বাস্তবতা হলো এস্তোনিয়ান ভাষা না জানলে পার্ট-টাইম জব পাওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পড়াশোনা শেষে ভার্সিটির অনুমতি সাপেক্ষে ৯ মাস সময় পাবেন জব খোঁজার জন্য। এস্তোনিয়াতে আইটি সেক্টরে ফুলটাইম জব পাওয়া সহজ। তাই এই রিলেটেড সাবজেক্টে পড়ে ইউরোপে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এস্তোনিয়া ভাল অপশন। জব দেখাতে পারলে ৫ বছরের ভিসা পাবেন। তারপর ভাষা পরীক্ষায় পাশ করলেই পার্মানেন্ট। এবং সময়ের সাথে সাথে পাসপোর্ট।  এস্তোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামগুলোর বিস্তারিত বিবরণ  এই ওয়েবসাইটে সার্চ করে করে দেখতে পারবেন। অনলাইন আবেদনও এই ওয়েবসাইটেই করতে পারবেন। 

 
এডমিশন লেটার পেলে এস্তোনিয়া টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট আবেদন করতে হবে।   ১ বছরের টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদনের পর এস্তোনিয়ান ফরেন পুলিশ জমা দেওয়ার সকল কাগজপত্র এবং ইন্টারভিউ পারফর্মেন্স যাচাই বাচাই করবে।

যদি এস্তোনিয়ান ফরেন পুলিশ আপনার আবেদন এপ্রুভ করে তাহলে আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট কার্ড দেওয়া হবে। এস্তোনিয়ান টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট প্রসেস পেতে ২-৩ মাস সময় লাগে। তাই ক্লাস শুরু হওয়ার অন্তত ২-৩ মাস আগে থেকে ভিসার এগুলো করতে হবে।
​
ভিসা আবেদনের  প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে  ১ বছরের ট্রাভেল হেলথ ইনস্যুরেন্স যেটা অবশ্যই ১ বছরে ৩০,০০০ ইউরো মেডিক্যাল কস্ট কভার করবে। বাংলাদেশে  ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুমোদিত  ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে হবে। আপনার পরিবার প্রধানের মাসিক আর্থিক আয়ের প্রমাণ কপি লাগবে । প্রতি মাসে আপনার পরিবার প্রধানের আয় কি রূপ হতে হবে তাঁর একটি ধারনা দিচ্ছি ধরুন আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৩জন(আপনি,আপনার বাবা,মা) সেক্ষেত্রে জন প্রতি ১৫৬ ইউরো করে ধরতে হবে অর্থাৎ ১৫৬x৩= ৪৬৮ ইউরো আপনার পরিবারের প্রধানের মাসিক আয় হতেই হবে। সে অনুযায়ী সদস্য সংখ্যা ৫ জন হলে ১৫৬x৫= ৭৮০ ইউরো মাসিক আয় হতে হবে। আপনার বাবা চাকুরীজীবী হলে তাঁর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মাসিক বেতনের কনফার্মেশন। যদি ব্যবসায়ী হয় সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স সহ ব্যবসায়িক মুনাফার প্রমাণ পত্র। শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সার্টিফিকেট (মাসিক আয়ের সাথে ১২ দিয়ে গুন করলে যে এমাউন্ট হবে সেটাই ব্যাল্যান্সে থাকতে হবে এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনার বাবা-মা অথবা ভাই এর হলে এর একটি এফিডেভিট কপি লাগবে।
 
এস্তোনিয়া দূতাবাসের ঠিকানা
C15, Malcha Marg,
Chanakyapuri
New Delhi, 110 021 India
 
 
 এটাও পড়তে পারেন- 
পড়তে চাইলে নরওয়েতে 

Comments

    ক্যাটাগরি 

    All
    GMAT
    GRE
    MBA
    Oxford
    SOP
    Undergraduate
    USA





    ​আর্কাইভ 

    January 2020
    August 2019
    June 2019
    November 2018
    October 2018
    September 2018
    July 2018
    March 2018
    February 2018
    January 2018
    March 2017
    January 2017
    November 2016
    October 2016
    August 2016
    July 2016

    RSS Feed

Powered by Create your own unique website with customizable templates.