গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০২০ (GKS-2020) এর গ্রাজুয়েট (মাস্টার্স, ডক্টরাল) পর্যায়ের আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। এটিই বিগত বছর ধরে দিয়ে আসা কোরিয়ান সরকারী স্কলারশিপ (KGSP)। সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং ফেব্রুয়ারিতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য আবেদন নেয়া হয়ে থাকে। গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০২০ এর জন্য এমব্যাসি এবং ইউনিভার্সিটি দুটি ট্র্যাকেই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। তবে একজন আবেদনকারী একইসাথে উভয় ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে না। আবেদন করার জন্য যেকোনো একটি ট্র্যাক বেছে নিতে হবে। এমব্যাসি ট্র্যাকে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় বা সাবজেক্টের নাম দেয়া যাবে আর ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে শুধু একটিতেই আবেদন করা যাবে।
এবার এমব্যাসি ট্র্যাকে ১৪৫ টি দেশের ৬৫০ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে। অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে ৭৭ টি দেশের ৬১০ জন শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপটি দেয়া হবে। বাংলাদেশের নাম দুটো ট্র্যাকেরই মনোনীত দেশের নামের তালিকায় রয়েছে। আমাদের দেশ থেকে এবার এমব্যাসি ট্র্যাকে ৫ জন এবং ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে ৯ জনকে মোট ১৪ জনকে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০২০ দেয়া হবে। অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ডস স্কলারশিপের (Australia Awards Scholarship) আওতায় অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্স পড়ার জন্য ২০২১ সেশনের জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশীপ দেয়া হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া সরকার সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে এ স্কলারশীপ দিবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থী দেশটির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স পড়তে পারবে। রাউন্ড-ট্রিপ এয়ার টিকেট, টিউশন ফি, আবাসন ভাতাসহ শিক্ষার্থীর যাবতীয় খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করবে। আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
উল্লেখ্য শুধু বিসিএস কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংক, জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তা, এনজিও, প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত, ব্রাক এবং আইসিসিডিআর বি এর মত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া একাডেমিয়া, মিডিয়া, কালচারাল ইন্সটিটিউশন এবং এন্ট্রাপ্রেনিউর বা উদ্যোক্তাদেরো আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। সিলেকটেড আবেদনকারীদের মধ্যে অন্তত ৫০% নারী আবেদনকারী রাখা হবে। কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি(KAUST) লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত সৌদি আরবের অন্যতম একটি গ্র্যাজুয়েট লেভেলের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এর মোট ৯০১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩৩ জনই বিদেশী শিক্ষার্থী এবং ১৩৩ জন একাডেমিক স্টাফের মধ্যে ১৩০ জনই বিদেশী নাগরিক। গ্র্যাজুয়েট লেভেলে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং এ এর অবস্থান ১৯৫ তম। কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজিতে ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়ে থাকে। এটি সৌদি আরবের একমাত্র Co-Ed বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি এর ফল ২০২১ এর মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও এতে আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে ভর্তিকৃত সকল বিদেশী শিক্ষার্থীই কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি ফেলোশিপ পেয়ে থাকে। |
Archives
December 2020
Categories
All
|