হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে প্রায় ৫ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স এবং ডক্টরাল হাঙ্গেরি তে পড়তে পারবে। বাংলাদেশ থেকে আন্ডারগ্র্যজুয়েট এবং মাস্টার্স পর্যায়ে ৮০ জন এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামে ২০ জনকে এই স্কলারশিপ দেয়া হবে।
হাঙ্গেরি সরকার এর মাধ্যমে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করার নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি একই সাথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ নিতে ইচ্ছুক থাকে তাহলে ওয়ান টায়ার মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ান টায়ার প্রোগ্রাম টি দেয়া হচ্ছে জেনারেল মেডিসিন, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, ফরেস্ট্রি ইঞ্জিন্যারিং ইত্যাদি সাবজেক্টের ক্ষেত্রে। দক্ষিন কোরীয় সরকারী স্কলারশিপ বা কেজিএসপি (Korean Government Scholarship Program) এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের আবেদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশসহ মোট ৬৭ টি দেশের শিক্ষার্থী দক্ষিন কোরিয়ায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। মূলত ২ টি ট্র্যাকে এই স্কলারশিপে আবেদন করা যায়। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এবং এমব্যাসি ট্র্যাক। এই পোস্টে আমরা এমব্যাসি ট্র্যাকে আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। তবে যেকোনো আবেদনকারী এই দুইটি ট্র্যাকের মধ্যে যেকোনো একটি ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এর পোস্টটি পাবেন এখানে
এমব্যাসি ট্র্যাকে কেজিএসপি স্কলারশিপের জন্য পছন্দ অনুযায়ী শুধুমাত্র তিনটি প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে। ন্যাচারাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসির জন্য আবেদন করা যাবে না। এমব্যাসি ট্র্যাকে প্রোগ্রামে আলাদা আবেদন করতে হবে না এবং কোনো আবেদন ফি নেই। দক্ষিন কোরীয় সরকারী স্কলারশিপ বা কেজিএসপি (Korean Government Scholarship Program) এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের আবেদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশসহ মোট ৬৭ টি দেশের শিক্ষার্থী দক্ষিন কোরিয়ায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। মূলত ২ টি ট্র্যাকে এই স্কলারশিপে আবেদন করা যায়। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এবং এমব্যাসি ট্র্যাক। এই পোস্টে আমরা ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। এমব্যাসি ট্র্যাকে আবেদন শুরু হলে এই ট্র্যাক নিয়েও পোস্ট দেয়া হবে। তবে যেকোনো আবেদনকারী এই দুইটি ট্র্যাকের মধ্যে যেকোনো একটি ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে।
ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে কেজিএসপি স্কলারশিপের জন্য পছন্দ অনুযায়ী শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করা যাবে। ন্যাচারাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসির জন্য আবেদন করা যাবে না। Soka University of America যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত একটি লিবারেল আর্টস বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রাইভেট নন-প্রফিট বিশ্ববিদ্যালয়। ১০৩ একরের ক্যাম্পাসে বর্তমানে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ৪১৯ জন পড়াশোনা করছেন।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল রাইড স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও পড়তে পারবে। ফুল রাইড স্কলারশিপটির নাম হলো গ্লোবাল মেরিট স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের রিকোয়ারমেন্ট এবং সুবিধাসমূহ নিয়েই আজকে আমরা কথা বলবো। যারা এইচএসসিতে পড়ছেন তদের কাছে লেখাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইল। এইচএসসি ১ম বা ২য় বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নিলে স্কলারশিপের রিকোয়ারমেন্টগুলো পূরণ করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ও হ্যাঁ, এইচএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বাইরে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করার ক্ষেত্রে পুর্নাংগ দিকনির্দেশনামূলক একটি বই আমরা বের করেছি। আগ্রহীরা পড়তে পারেন- বিদেশে উচ্চশিক্ষা- আল্টিমেট গাইড ফর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন অনেক শিক্ষার্থীরই পছন্দের তালিকায় থাকে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উচ্চতর গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য বেছে নিচ্ছে এ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। জাপান সরকারো উচ্চশিক্ষায় বিদেশী শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে প্রতিবারের ন্যায় এবারো জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্সে মেক্সট বা মনবুকাগাকুশো স্কলারশিপ ঘোষণা করেছে। এ বৃত্তি সাধারণত দুইভাবে পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে। আরেকটি হচ্ছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইছেন, সে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে। জাপানে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যম জাপানি। তবে ইংরেজিতেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ আছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় সেদেশের অন্যতম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ফুল, হাফ এবং পারশিয়াল স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরের জন্য “ওয়েস্টমিনিস্টার ফুল ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ ২০১৮” এর আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কোনো পরিস্থিতিতেই একাধিক স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে না।
কোনো শিক্ষার্থী ফুল এবং হাফ দুটো স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে বা এই স্কলারশিপের সাথে আরো একটি স্কলারশিপের আবেদন করলে পুরো আবেদনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে। এই স্কলারশিপটি বাংলাদেশসহ মধ্যম আয়ের দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য। স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভলান্টারি কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা প্রতিবছর স্কলারশিপপ্রাপ্তদের ন্যূনতম ভলান্টারিং ঘন্টা (volunteering hours) সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্কলারশিপের বিস্তারিত পাবেন এখানে Chinese Govt. Scholarship এবং China Bangladesh Exchange Scholarship ২০১৮-১৯ এর জন্য Under-graduate, Masters, Ph.D, General/Senior Scholar কোর্সের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিকট হতে দরখাস্ত আহ্বান করা হচ্ছে। এই দুটি স্কলারশিপের আওতায় এবছর ৯৯ জন চীনে পড়ার সুযোগ পাবে। উল্লেখ্য, আন্ডারগ্রাজুয়েট বাদে বাকি প্রোগ্রামগুলোর জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
ছোট করে জানিয়ে দিই, আগস্টের শেষ সপ্তাহে আমরা একটি সেমিনার করতে যাচ্ছি যেখানে আন্ডারগ্রাজুয়েটে বাইরে পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কথা হবে সরকারী স্কলারশিপগুলো নিয়েও। সেমিনারের বিস্তারিত পাবেন এখানে স্কলারশিপের ফুল এবং পার্শিয়াল দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে। স্কলারশিপের আওতায় যা যা পাবেন- ১। রেজিস্টেশন ফি, ২। টিউশন ফি, ৩। আবাসন ফি, ৪। আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ভাতা ২৫০০ ইউয়ান যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৩ হাজার টাকা ৫। মাস্টার্স ও ডক্টরেল লেভেলে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য মাসিক খরচ হিসেবে যথাক্রমে ৩০০০ ইউয়ান ও ৩৫০০ ইউয়ান প্রদান করা হবে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ হাজার ও ৪৬ হাজার টাকা। তবে, ল্যাবরেটরি ও ইন্টার্নশিপ ফি এবং যাতায়াত খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। উল্লেখ্য পার্শিয়াল স্কলারশিপের আওতায় উপরের এক বা একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে। হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে প্রায় ৫ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স এবং ডক্টরাল হাঙ্গেরি তে পড়তে পারবে। হাঙ্গেরি সরকার এর মাধ্যমে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করার নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি একই সাথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ নিতে ইচ্ছুক থাকে তাহলে ওয়ান টায়ার মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ান টায়ার প্রোগ্রাম টি দেয়া হচ্ছে জেনারেল মেডিসিন, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, ফরেস্ট্রি ইঞ্জিন্যারিং ইত্যাদি সাবজেক্টের ক্ষেত্রে।
হংকংএর লিংনান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রাম ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। লিংনান বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার ১% বা টপ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য যে স্কলারশিপটি তারা দিচ্ছে তার নাম নন-লোকাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ। পড়ালেখার মাধ্যম ইংরেজি। মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় অনুষদের অধীন ১৮ টি প্রোগ্রামে আন্ডারগ্র্যাড করার সুযোগ রয়েছে। এই স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মাইশা মালিহা লিংনান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ করছেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটি তুলনামুলক ছোট হওয়ায় সবাই সবাইকে চেনে এবং এত আন্তরিক যে এটা এখন আমার আরেকটা পরিবার।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আইসিসিআর স্কলারশিপ আবেদন শুরু হয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-এশিয়ার মোট ৭৩টি দেশের শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপ দিচ্ছে। তবে, প্রতিযোগিতার কথা বিবেচনা করলে, বাংলাদেশ থেকেই এই স্কলারশিপ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। প্রতি বছর Bangladesh Scholarship Scheme ICCR-এর (আবেদনপত্রের প্রথম পৃষ্ঠার ক্রমিক ১১) আওতায় মোট ২০০ জন স্কলারকে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু আবেদন করেন প্রায় কয়েকগুণ এবং প্রতি বছরই আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ছে! তুমুল এই প্রতিযোগিতায় যারা শুরুতেই বাদ পড়ে যান, তারা মূলত সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করতে না পারার কারণে বাদ পড়েন। আন্ডারগ্র্যাড আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে এইচএসসিতে অবশ্যই ইংরেজিতে জিপিএ ৩ পেতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য এখানে একাউন্ট খুলে আবেদন করতে হবে। পুরো অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় অনলাইন সাপোর্ট পাবেন মাত্র ১০০০ টাকায়। অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে খোলা বাকসো অনলাইন সাপোর্টের জন্য স্লট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করুন |
Archives
February 2021
Categories
All
|