প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মিশরীয় সরকার কতৃক আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করা হয়েছে। মিশর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এই শিক্ষারবৃত্তির আওতায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স পর্যায়ে সেদেশে পড়তে পারবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, অন্তত ২৫ শতাংশ প্রার্থী সিলেক্ট করা হবে মেডিসিন, ফার্মেসী এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডের জন্য। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মিশরীয় উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নিয়মামাফিক আবেদন ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শুধুমাত্র অনলাইন ভর্তি হয়ে থাকে। ফলে অনলাইন আবেদন ব্যতীত কোনো শিক্ষার্থীর মনোনয়ন মিশরীয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে না। চলুন দেখে নেয়া যাক এই স্কলারশিপের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো। আবেদনের সাধারণ শর্তাবলী- ১। আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ২৫ এর মধ্যে হতে হবে। ২। সংযুক্ত সকল ডকুমেন্ট ইংরেজিতে হতে হবে। ৩। মাস্টার্সে আবেদনের ক্ষেত্রে মিশরের সমতাকরণ বিভাগ থেকে অবশ্যই সার্টিফিকেট এর সমতাকরণ করে নিতে হবে। যা যা পাবেন- ছাত্রাবাসে না থাকলে থাকা- খাওয়া বাবদ ১৫০ পাউন্ড দেয়া হবে । যে সকল কাগজপত্র আবশ্যক- * উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট * উচ্চমাধ্যমিক মার্কশীট * এনআইডি * পাসপোর্ট * জন্ম নিবন্ধন পত্র * পাসপোর্ট সাইজ ছবি আবেদনের নিয়মাবলি- আবেদনের জন্য প্রথমে মিশরের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এখানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর এখানে গিয়েও অনলাইনে আবেদন করতে হবে। উল্লেখ্য এই দুটি অনলাইন আবেদনই সম্পন্ন করতে হবে। কোনো একটি করতে ব্যর্থ হলে আবেদন সয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এই দুটো আবেদন নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নিন।এক্ষেত্রে আমরা আপনার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে অনলাইন আবেদন করে দিবো। অথবা আপনি যদি চান আপনি নিজে আবেদন করবেন সেক্ষেত্রে আমরা আবেদনের সময় অনলাইনে থেকে আবেদনের প্রতিটি পর্যায় চেক করে দিবো। এতে করে নির্ভুল আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনি থাকতে পারবেন নিশ্চিন্ত। আমাদের সাপোর্ট ফি ১০২০ টাকা। অনলাইন সাপোর্টের বিস্তারিত পাবেন এখানে । অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে খোলা বাকসো অনলাইন সাপোর্টের জন্য স্লট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করুন। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীসহ আবেদনসমূহ (তিন সেট করে) এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট একটি খামে দাখিল করতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। দাখিলকৃত প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরম এবং সংযুক্ত সকল ডকুমেন্টের একটি চেকলিস্ট/তালিকা জমা প্রদান করতে হবে।ডকুমেন্টসমূহেরর উপরের ডানদিকে পৃষ্টা নম্বর দিতে হবে। খামের উপরে Tracking Number, Program এবং প্রেরক ও প্রাপকের নাম উল্লেখ করতে হবে। প্রাপক যুগ্নসচিব (বৃত্তি), শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কক্ষ নং - ১৭০৬ ভবন - ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। যাদের পক্ষে ঢাকা এসে ডকুমেন্ট জমা দেয়া সম্ভব না তারা আমাদেরকে ডকুমেন্টগুলো কুরিয়ার করতে পারেন। আমাদের প্রতিনিধিরা ডকুমেন্ট চেক করে সংশ্লিষ্ট কাউন্টারে যেয়ে আপনার হয়ে জমা দিয়ে আসবে। এই সেবাটির সার্ভিস চার্জ ৫২০ টাকা। আবেদনের সময়সীমা- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিঙ্কে অনলাইন আবেদন ২৪ আগস্ট, ২০১৯ পর্যন্ত করা যাবে। আবেদনপত্র সচিবালয়ের ২নং গেইট সংলগ্ন অভ্যর্থনা কক্ষের ৯নং কাউন্টারে সকাল ১০-১১টা এবং বিকাল ৩.৩০ থেকে ৪.৪০ এর মধ্যে জমা প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৫ আগষ্ট, ২০১৯ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ব্যচেলর প্রোগ্রামে স্কলারশিপের মেয়াদ তিন বছর। প্রোগ্রাম চার বছরের হলেও নানা কারণে পাঁচ বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। এছাড়া ভিসা এবং নিরাপত্তা জটিলতার কারণে প্রথম বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। তাই ব্যাচেলর শেষ না হলেও তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর পুনরায় স্কলারশিপ নবায়ন করা যাবে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরবি ভাষা দক্ষতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এইলেখাটি পড়ে দেখতে পারেন- SAT নিয়ে সবকিছু |
Archives
February 2021
Categories
All
|