হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে প্রায় ৫ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স এবং ডক্টরাল হাঙ্গেরি তে পড়তে পারবে। গতবছর গুলোর ধারাবাহিকতায় এবছরও বাংলাদেশ থেকে আন্ডারগ্র্যজুয়েট এবং মাস্টার্স পর্যায়ে ৮০ জন এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামে ২০ জনকে এই স্কলারশিপ দেয়া হবে। উল্লেখ্য এ নিয়ে ৪র্থ বারের মত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ দেয়া হচ্ছে। পুর্বের ৩ বারের ন্যায় এবারো এই স্কলারশিপ আবেদনে আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নেয়া যাবে।
হাঙ্গেরি সরকার এর মাধ্যমে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করার নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি একই সাথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ নিতে ইচ্ছুক থাকে তাহলে ওয়ান টায়ার মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ান টায়ার প্রোগ্রাম টি দেয়া হচ্ছে জেনারেল মেডিসিন, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, ফরেস্ট্রি ইঞ্জিন্যারিং ইত্যাদি সাবজেক্টের ক্ষেত্রে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আইসিসিআর স্কলারশিপ আবেদন শুরু হয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-এশিয়ার মোট ৭৩টি দেশের শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপ দিচ্ছে। এপর্যন্ত মোট ৩৫০০ জন বাংলাদেশী এই স্কলারশিপটি পেয়েছেন। । প্রতি বছর Bangladesh Scholarship Scheme ICCR-এর আওতায় মোট ২০০ জন স্কলারকে নির্বাচন করা হয়। গতবারের ন্যায় এবারো এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নেয়া যাবে। অনলাইন সাপোর্ট নেয়া সবাইকে আইসিসিআরের ইপিটি (EPT) পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন দেয়া হবে।
প্রতিবছর ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপের আওতায় বেশকিছু প্রোগ্রাম ফুল ফান্ডিং নিয়ে মাস্টার্স করা যায়। সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে আবেদন নেয়া শুরু হয়। এবার প্রায় ১২০ এরও অধিক প্রোগ্রামে ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপের ফান্ডিং রয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও এই প্রোগ্রাম গুলোতে আবেদন করতে পারবে। সবগুলো প্রোগ্রামের ব্যাপারে লেখা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আমরা ১০-১২ টি প্রোগ্রাম ফিচার করার চেষ্টা করবো। তবে বাকি প্রোগ্রামগুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রেও আমাদের অনলাইন সাপোর্ট নিতে পারবেন।
এই ১২০ টি প্রোগ্রামেরই একটি হচ্ছে ইরাসমাস মুন্ডুস মাস্টার ইন ইমার্জেন্সী এন্ড ক্রিটিকাল কেয়ার নার্সিং (Erasmus Mundus Joint Master Degree in Emergency and Critical Care Nursing) । চলুন জেনে নেই আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো। গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ যা আগে কেজিএসপি (Korean Government Scholarship Program) নামে পরিচিত ছিল, এর ২০২১ সেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের এমব্যাসি ট্র্যাকের আবেদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশসহ মোট ৬৭ টি দেশের শিক্ষার্থী দক্ষিন কোরিয়ায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। এ বছর এমব্যাসি ট্র্যাকে বাংলাদেশের জন্য ১ টি কোটা রয়েছে। মূলত ২ টি ট্র্যাকে এই স্কলারশিপে আবেদন করা যায়। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এবং এমব্যাসি ট্র্যাক। এই পোস্টে আমরা এমব্যাসি ট্র্যাকে আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। তবে যেকোনো আবেদনকারী এই দুইটি ট্র্যাকের মধ্যে যেকোনো একটি ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এর পোস্টটি পাবেন এখানে
এমব্যাসি ট্র্যাকে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপের জন্য পছন্দ অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি করে মোট তিনটি প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে। ন্যাচারাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসির জন্য আবেদন করা যাবে না। এমব্যাসি ট্র্যাকে প্রোগ্রামে আলাদা আবেদন করতে হবে না এবং কোনো আবেদন ফি নেই। গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ যা আগে কেজিএসপি (Korean Government Scholarship Program) নামে পরিচিত ছিল, এর ২০২১ সেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের আবেদন শুরু হয়েছে। মূলত ২ টি ট্র্যাকে এই স্কলারশিপে আবেদন করা যায়। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাক এবং এমব্যাসি ট্র্যাক। এই পোস্টে আমরা ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। এমব্যাসি ট্র্যাকে আবেদন শুরু হলে এই ট্র্যাক নিয়েও পোস্ট দেয়া হবে। তবে যেকোনো আবেদনকারী এই দুইটি ট্র্যাকের মধ্যে যেকোনো একটি ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে। বাংলাদেশসহ মোট ৭২ টি দেশের শিক্ষার্থী দক্ষিন কোরিয়ায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার জন্য এই ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে। বাংলাদেশের জন্য এবার এই ট্র্যাকে কোনো রিজার্ভ কোটা নেই। উন্মুক্ত ৯ টি স্কলারশিপের জন্য বাকি দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে কেজিএসপি স্কলারশিপের জন্য পছন্দ অনুযায়ী শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করা যাবে। ন্যাচারাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসির জন্য আবেদন করা যাবে না। মিশরের আল-আজহার আল-শরিফ কর্তৃক আল আজহার ইন্সটিটিউটসমুহে অধ্যয়নের জন্য শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মিলিয়ে মোট ১২ জন বাংলাদেশীকে এই স্কলারশিপ দেয়া হবে এবছর। আবেদন করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে। প্রাথমিক বাছাইও শিক্ষা মন্ত্রনালয় করবে। যারা ইতিমধ্যে অন্য কোনো সরকারি স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন তাদের আবেদন না করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Australian Government Research Training Program (RTP) Scholarships বা আরটিপি স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রতিবছর বিদেশী শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। আরটিপি স্কলারশিপ মূলত পোস্টগ্র্যাজুয়েট রিসার্চ প্রোগ্রামের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। কিছু সিলেকটেড বিশ্ববিদ্যালয় এই স্কলারশিপের আওতাধীন। আবেদনকারীদের তাদের কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আরটিপি স্কলারশিপের জন্য।
গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯ (GKS-2019) এর গ্রাজুয়েট (মাস্টার্স, ডক্টরাল) পর্যায়ের আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। এটিই বিগত বছর ধরে দিয়ে আসা কোরিয়ান সরকারী স্কলারশিপ (KGSP)। সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং ফেব্রুয়ারিতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য আবেদন নেয়া হয়ে থাকে। গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯ এর জন্য এমব্যাসি এবং ইউনিভার্সিটি দুটি ট্র্যাকেই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। তবে একজন আবেদনকারী একইসাথে উভয় ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে না। আবেদন করার জন্য যেকোনো একটি ট্র্যাক বেছে নিতে হবে। এমব্যাসি ট্র্যাকে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় বা সাবজেক্টের নাম দেয়া যাবে আর ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে শুধু একটিতেই আবেদন করা যাবে।
এবার এমব্যাসি ট্র্যাকে ১৪৬ টি দেশের ৪৮০ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে। অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে ৭৭ টি দেশের ৩৩০ জন শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপটি দেয়া হবে। বাংলাদেশের নাম দুটো ট্র্যাকেরই মনোনীত দেশের নামের তালিকায় রয়েছে। আমাদের দেশ থেকে এবার এমব্যাসি ট্র্যাকে ৫ জন এবং ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে ৯ জনকে মোট ১৪ জনকে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯ দেয়া হবে। Chinese Govt. Scholarship এর আওতায় Under-graduate, Masters, Ph.D, General/Senior Scholar কোর্সের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিকট হতে চায়না সরকারি স্কলারশিপ এর জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হচ্ছে। এই স্কলারশিপের আওতায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা চীনে পড়ার সুযোগ পাবে। সিজিএস/সিএসসি (CGS/CSC) নামে অধিক পরিচিত এই স্কলারশিপের বিস্তারিত নিয়েই আজকের আয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।
স্কলারশিপের আওতায় যা যা পাবেন- ১। রেজিস্টেশন ফি, ২। টিউশন ফি, ৩। আবাসন ফি, ৪। আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ভাতা ২৫০০ ইউয়ান যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩১ হাজার টাকা ৫। মাস্টার্স ও ডক্টরেল লেভেলে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য মাসিক খরচ হিসেবে যথাক্রমে ৩০০০ ইউয়ান ও ৩৫০০ ইউয়ান প্রদান করা হবে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৭ হাজার ও ৪১ হাজার টাকা। তবে, ল্যাবরেটরি ও ইন্টার্নশিপ ফি এবং যাতায়াত খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। উল্লেখ্য পার্শিয়াল স্কলারশিপের আওতায় উপরের এক বা একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্রুনেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এটি একটি রাজতান্ত্রিক ইসলামী দেশ। বলা হয়ে থাকে ব্রুনেই সুলতানের বাসভবন ইসতানা নুরুল ইমান বিশ্বের সবথেকে বড় রাজপ্রাসাদ। সমৃদ্ধ অর্থনীতির এই দেশটিতে প্রতিবারের ন্যায় এবারো সরকারী স্কলারশিপ নিয়ে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়তে পারবেন। ডিপ্লোমা, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করা যাবে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।
|
Archives
February 2021
Categories
All
|